প্রত্যয় ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বব্যাপী অনেকেই হাত ধোয়ার বদলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। তবে তাদের জন্য দুঃসংবাদ জানাল যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। বিষাক্ত অনেক উপাদান থাকায় ক্ষতিকর বিবেচনায় অন্তত ৯টি ব্রান্ডের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে এফডিএ।
এফডিএ জানিয়েছে, হাত পরিষ্কারের উপকরণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিষাক্ত ক্ষতিকর পদার্থ দিয়ে তৈরি হচ্ছে। এতে রয়েছে মিথানল, বেনজেথোনিয়াম ক্লোরাইড, ট্রিকলোসানের মতো ক্ষতিকর উপাদান। এসব উপাদান হাতের ত্বকে বিষক্রিয়ারও সৃষ্টি করতে পারে। স্যানিটাইজার লাগানোর পরে যেহেতু আর হাত ধোয়া হয় না, তাই ওই হাতে খাবার খাওয়াও ঝুঁকির।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সম্প্রতি তারা ক্লিনকেয়ার নোজার্ম ও লাভারজেল নামে দু’টি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছে, তাতে ৮১ শতাংশ পর্যন্ত মিথানল বা উড অ্যালকোহল রয়েছে। এই রাসায়নিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারে উপাদান হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয় ও ত্বকে বিষাক্ত প্রভাব ফেলতে পারে বলে এটি কারও ব্যবহার করাও উচিত হবে না। ক্লিনকেয়ার ও লাভারজেল হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেক্সিকোভিত্তিক এস্কবায়োকেম কোম্পানির। এ কারণে এফডিএ এস্কবায়োকেম কোম্পানির এসব পণ্য ব্যবহারে সতর্ক করেছে। তারা ওই কোম্পানির সব পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এফডিএ যে নয়টি ব্র্যান্ডের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে সতর্ক করেছে সেগুলো হলো-
১. অলক্লিন হ্যান্ড স্যানিটাইজার
২. এস্কবায়োকেম হ্যান্ড স্যানিটাইজার
৩. ক্লিনকেয়ার নোজার্ম
৪.লাভারজেল হ্যান্ডস্যানিটাইজার
৫. গুডজেল অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল হ্যান্ড সানিটাইজার
৬. ক্লিনকেয়ার অ্যাডভান্স
৭. ক্লিনকেয়ার নোজার্ম অ্যাডভান্স
৮. সানিডার্ম অ্যাডভান্স ও
৯. ক্লিনকেয়ার হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
এফডিএ সতর্ক করে বলেছে, এসব হ্যান্ড সানিটাইজারে মিথানলের পরিমাণ ৭৫ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত। তাই এগুলোর ব্যবহারকারীর অবিলম্বে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। কারণ, উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মিথানল এক্সপোজারের ফলে বমিভাব, মাথা ব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি, স্থায়ী অন্ধত্ব, খিঁচুনিসহ স্নায়ুতন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি বা মৃত্যু হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ প্রতিরোধ সংস্থা বলছে, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরিবর্তে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া ভালো। যদি সেটি কেউ না করতে চান, তবে এমন স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত, যাতে ৬০ শতাংশের নিচে অ্যালকোহল রয়েছে।